• ঢাকা বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১
logo
ট্রাম্পের অভিষেক ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ওয়াশিংটন
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিষেকে স্বাভাবিকভাবেই কঠোর নিরাপত্তা থাকে। তবে এবার সেটা আরও বেশি। অভিষেক অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে চাওয়ার পেছনে কারণ হলো গত কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ঘটা ভয়ংকর কিছু বিচ্ছিন্ন হামলা, যা এককভাবে কোনো ব্যক্তি পরিচালনা করেছেন।  হোয়াইট হাউজে ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক ঘিরে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে গেছে ওয়াশিংটন ডিসি। সমবেত হাজারো সমর্থকদের তল্লাশি করার জন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২৫ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক তল্লাশি চৌকি ও প্রায় ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ অস্থায়ী বেড়া। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। আগামী সোমবার ইউএস ক্যাপিটলের সিঁড়িতে শপথ গ্রহণের পর হোয়াইট হাউজ পর্যন্ত কুচকাওয়াজের মধ্যে দিয়ে ট্রাম্পের অভিষেকের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে। ওয়াশিংটন মনুমেন্টের দিকে ফিরে দাঁড়িয়ে নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্য, তার প্রশাসনের মনোনীত ব্যক্তি ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের সঙ্গে শপথ গ্রহণ করবেন ট্রাম্প। ২০২০ সালে বাইডেনের কাছে পরাজয়ের পর এই ক্যাপিটল হিলেই হামলা চালিয়েছিলেন ট্রাম্প সমর্থকরা। অভিষেক অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে চাওয়ার পেছনে আরেকটি কারণ হলো ট্রাম্পকে ইতোমধ্যে দুবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রথমবার হামলাকারীর গুলি তার কানের পাশে দিয়ে চলে যায়। এ ছাড়া বছরের শুরুতেই দুটি ভয়াবহ হামলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। নিউ অরলিন্সে এক সাবেক মার্কিন সেনা ট্রাক নিয়ে নববর্ষ উদযাপনকারীদের ভিড়ে ঢুকে পড়লে ১৪ জন নিহত এবং বহু লোক আহত হন। একই দিনে কর্মরত আরেক সেনা লাস ভেগাসে ট্রাম্প ব্র্যান্ডের একটি হোটেলের সামনে টেসলা সাইবার ট্রাক বিস্ফোরণ ঘটান। এতে তার মৃত্যু হয়। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ইউএস সিক্রেট সার্ভিসের স্পেশাল এজেন্ট ম্যাট ম্যাককুল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমরা খুব নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছি। সুনির্দিষ্ট হামলার বদলে একক ব্যক্তির বিচ্ছিন্ন হামলা বা লোন উলফ অ্যাটাক নিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, অভিষেক অনুষ্ঠানে নির্দিষ্ট ও সুপরিকল্পিত হামলা সম্পর্কে এখনও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে একক হামলাকারী নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা। মার্কিন ক্যাপিটল পুলিশ জানিয়েছে, আগুন দেওয়ার চেষ্টা করার সময় ক্যাপিটল ভবনের কাছ থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। আরটিভি/একে-টি
৫ ঘণ্টা আগে

বাতিল হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষার জন্য প্রণীত ‘জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন ২০০৯’ বাতিল হতে যাচ্ছে। আইনটি সংশোধন করার প্রস্তাব উঠছে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে থেকে জানা গেছে। জানা গেছে, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন ২০২১, যেটি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের ‘তাদের অবস্থান নির্বিশেষে’ রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপি হওয়া ছাড়াও একই ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে– সেটি সংশোধন করা হবে। প্রস্তাবটি অনুমোদন পেলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, তাদের সন্তান এবং সন্তানদের স্বামী-স্ত্রী ও নাতি-নাতনিদের নিরাপত্তার জন্য স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) নিরাপত্তা সুবিধা, নিরাপদ আবাসনসহ সরকার থেকে প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুবিধা বাতিল হয়ে যাবে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন ২০০৯ প্রণয়ন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবিত দুই কন্যা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা এবং তাদের সন্তানদের আজীবন বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। এই আইনের অধীনে একজন ‘ভেরি ভেরি ইম্পর্ট্যান্ট পারসন (ভিআইপি)’-এর জন্য স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে, তাদের জন্যও আজীবন একই ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন ২০২১ সালে প্রণীত হয় যাতে ভিভিআইপি যেমন রাষ্ট্রপতি এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের যেকোনো স্থানে সমান নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। যদি কোনো ব্যক্তি এই ব্যক্তিদের শারীরিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করে, তাহলে এসএসএফ সদস্যদের তাকে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা রয়েছে। ওই ব্যক্তি গ্রেপ্তার এড়ানোর চেষ্টা করলে কিংবা গ্রেপ্তার প্রচেষ্টায় বাধা দিলে, যথাযথ হুঁশিয়ারি প্রদানের মাধ্যমে এসএসএফ তার বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগ বা যেকোনো প্রয়োজনীয় উপায়ে হুমকি নিরসন করতে পারে। এই আইনের আওতায় এসএসএফ-এর সদস্যদের কৃতকর্মের জন্য সরকারের পূর্ব অনুমোদন ছাড়া কোনো মামলা করা যায় না। গত ৫ আগস্ট জনরোষে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর এই দুই আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে ‘জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন ২০০৯’ এবং ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন ২০২১’ এর ধারা ২(খ), ২(গ), ৮(১), ৮(৩), ৮(৪) এবং ৯(২); যেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যগণ লেখা আছে সেগুলো অসাংবিধানিক এবং অবৈধ ঘোষণা করার জন্য রিট করা হয়েছে। রিটে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থ সচিব, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর ডিজি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি এবং শেখ রেহেনার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তিকে বিবাদী করা হয়েছে।
২৮ আগস্ট ২০২৪, ১৩:২৩

ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, নিরাপত্তা জোরদার
ঈদের টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নেমেছে। সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে সকাল থেকে পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। পর্যটকরা সৈকতের কিটকটে বসে, ওয়াটার বাইক, বিচ বাইক ও ঘোড়ায় চড়ে মনের আনন্দে ঘুরছেন। জেলার ইনানী, পাটুয়ারটেক, মহেশখালী, রামুর বৌদ্ধ মন্দিরসহ অন্যান্য স্পটেও পর্যটকদের পদচারণা লক্ষ্য করা গেছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল টিম টহল জোরদার করেছেন। ইতোমধ্যে কক্সবাজারের আবাসিক হোটেলগুলোর ৮০ থেকে ১০০ ভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।  এ বিষয়ে কলাতলী আবাসিক হোটেল ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান জানান, আগামী সোমবার পর্যন্ত পর্যটকদের পর্যটকদের চাপ থাকবে।  রমজান মাসের পর পর্যটন ব্যবসায় ফের চাঙ্গাভাব ফিরে এসেছে বলে মনে করছেন তিনি। এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে দেখা গেছে, তীব্র গরমের মাঝেও সমুদ্রের নীলজলরাশি অস্বস্তি ভুলিয়ে দিয়েছে পর্যটকদের। এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিল পর্যটন নগরী কক্সবাজার। ফলে হাসি ফুটেছে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুরো রমজান মাসজুড়ে প্রায় পর্যটকশূন্য ছিল কক্সবাজার। ঈদের আগমনে দর্শনার্থীদের সেই খরা কেটেছে। ঈদের দিনই পর্যটন নগরীতে ঢল নেমেছে পর্যটকদের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে পর্যটকরা আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে তিল ধারনের ঠাঁই ছিল না। বিভিন্ন বয়সের মানুষ সাগরের লোনাজলে গোসল করতে নামে। কেউ সৈকতে ঘোড়ায় চড়ে সমুদ্র দর্শন করছেন। কেউ আবার ওয়াটার বাইক ও বিচ বাইকে সৈকত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। সকাল থেকেই কলাতলী থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতে লক্ষাধিক দর্শনার্থী নামেন বলে জানিয়েছেন সৈকতে দায়িত্বরত কর্মীরা। সৈকতে দায়িত্বরত এক বিচকর্মী বলেন, স্থানীয়দের পাশাপাশি আজ সকাল থেকে পর্যটকরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। শুধু ঈদের দিনেই অন্তত ৪০ হাজার পর্যটক সৈকতে নেমেছেন বলে আমরা ধারণা করছি। শুক্রবারে এ সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। এ বিষয়ে কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, সৈকত ভ্রমণে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে খাবারের অতিরিক্ত মূল্য আদায় হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা তৎপর রয়েছি। খাবার টেবিলে মূল্যতালিকা রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পর্যটকরা তালিকা দেখেই খাবারের চাহিদা জানাতে পারবেন। জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোটেলের কক্ষ ভাড়ার তালিকা টাঙানোর নির্দেশ অনেক আগেই দেওয়া আছে। অতিরিক্ত ভাড়া যেন কেউ আদায় করতে না পারে সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পৃথক কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন। হোটেলে কক্ষ ভাড়ার বিপরীতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২২

আজ মিউনিখ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি ৬০তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে জার্মানির উদ্দেশ্যে রওনা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের সভাপতি রাষ্ট্রদূত ড. ক্রিস্টোফ হিউজেনের আমন্ত্রণে এ সম্মেলনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অন্তত সাত দেশ ও তিন আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে জার্মা‌নির উদ্দেশ্যে রওনা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনা। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচ‌নে সরকার গঠনের পর এটি প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তানীতিবিষয়ক এ বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর জার্মানি সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, মিউনিখ সম্মেলনে প্রায় ৬০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থা, মিডিয়া, সুশীল সমাজ, সরকারি এবং বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রায় পাঁচশ প্রতিনিধি থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের উদ্বোধনী আয়োজনে এবং ক্লাইমেট ফিন্যান্স সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন। জার্মান প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত একটি নাগরিক সংবর্ধনায়ও উপস্থিত হবেন তিনি। জার্মানির মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন এবং ক্লাইমেট ফাইন্যান্সসংক্রান্ত একটি উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন। তিনি বলেন, সফরকালে প্রধানমন্ত্রী জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে, ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মিতে ফ্রেডিরিকসেন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের জন্য সময় চেয়েছেন। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী তাকে সময় দিয়েছেন। সেখানে যুদ্ধ বন্ধের আলোচনাই হবে। জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের ফলে ঢাকার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে হেরফের হওয়ার প্রশ্নই আসে না। মস্কোর সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক অত্যন্ত উষ্ণ এবং ঐতিহাসিক। তিনি বলেন, সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, জার্মানির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী সেভেনজা সুলজ, বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপনা পরিচালক এক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ এবং মেটার গ্লোবাল এফেয়ার্স প্রেসিডেন্ট স্যার নিক ক্লেগ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলেও আশা করা যায়। এ ছাড়া শেখ হাসিনা জার্মানিতে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত একটি নাগরিক সংবর্ধনায়ও অংশ নেবেন।আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ ত্যাগ করবেন এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকায় পৌঁছাবেন।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৫৪

কুষ্টিয়ায় ৫ স্তরের কঠোর নিরাপত্তায় ভোটগ্রহণ শুরু
কুষ্টিয়ার চারটি সংসদীয় আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ৫ স্তরের কঠোর নিরাপত্তায় সকাল ৮টায় জেলার ৫৭৮ ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চারটি আসনে দুই হেভিওয়েট প্রার্থীসহ মোট ৩১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ তৃতীয়বারের মতো প্রার্থী হয়েছেন। তার সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলীর পুত্র পারভেজ আনোয়ার তনু।  কুষ্টিয়া-২ মিরপুর ভেড়ামারা আসনে জাসদ সভাপতি সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ১৪ দলের প্রাপ্তি হিসেবে নৌকা প্রতীকে চতুর্থবারের মতো নির্বাচন করছেন। এই আসনে আওয়ামী লীগ নেতা, মিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে কামারুল আরেফিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান বর্তমান সংসদ সদস্য সারোয়ার জাহান বাদশার সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য রেজাল হক চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর কুষ্টিয়া -৪ কুমারখালী খোকসা আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য নৌকার প্রার্থী ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছেন সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ।  এখন পর্যন্ত একটি আসনের কোথাও কোনো ধরনের সহিংসতা বা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়